বাজারে সবসময় দেশি মুরগির চাহিদা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন না থাকার কারণে দামও অনেক বেশি। তাই দেশ মুরগির রোগ ও চিকিৎসা বিষয়ে সচেতন থেকে যদি বানিজ্যিকভাবে পালন করা যায় তাহলে এটি বেশ লাভজনক হতে পারে।
ভিটামিন মিনারেল সহ পরিমিত খাবারের অভাবে দেশি মুরগিগুলো ঠিকমতো বড় হতে পারে না। পাশাপাশি বিভিন্ন অসুখের কারণে মাঝে মাঝেই এগুলো মারা যায় এবং আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হই। আজ আমরা দেশি মুরগির কিছু রোগ এবং এই সমস্যাগুলোর সমাধান বিষয়ে আলোচনা করবো।
দেশি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা
বিভিন্ন ভাইরাস জনিত রোগ যেমন রাণীক্ষেত বা গামবোরো মুরগির হয়ে থাকে তা চিকিৎসা করে খুব একটা ভাল ফল পাওয়া যায় না। নিয়মিত টিকাদানই এই ক্ষেত্রে একমাত্র সমাধান। এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া, ফাংগাস, বা পরজীবীর কারণে কিছু রোগ হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে দেশি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা কি হতে পারে সেই বিষয়ে নীচে কিছু ধারণা দেওয়া হলো।
মুরগির কৃমি রোগ
গ্রীষ্মকালে কৃমির ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকলেও সারা বছরই মুরগি কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। মুরগি কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে কি না তা কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন। যেমন- মুরগি ওজন হারাতে থাকে, মাঝে মাঝে রক্তাক্ত পায়খানা করে বা পায়খানার সাথে কৃমি বেরিয়ে আসে, ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেয় বা মুরগি কম একটিভ থাকে।
এই ধরণের সমস্যাগুলো দেখা দিলে একজন পশুচিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নির্ধারিত মাত্রায় কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ালে মুরগি ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, যেমন- মুরগির থাকার পরিবেশ শুষ্ক রাখুন, মাটিতে ছিটিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে নির্ধারিত পাত্রে খাবার দিন, খাবার ও পানির পাত্র নিয়মিত পরিস্কার করুন ইত্যাদি। এছাড়াও নিয়মিত মুরগিকে কৃমিনাশক খাওয়ালে এগুলো কৃমিমুক্ত থাকবে।
ককসিডিওসিস বা রক্ত আমাশায়
সাধারণত প্রটোজোয়ার আক্রমণে মুরগি সহ গৃহপালিত সব প্রজাতির পাখিরই এই রোগ হয়ে থাকে। জানলে অবাক হবে এই রোগে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপি প্রায় 3 হাজার 600 কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে থাকে। বিস্তারিত পড়ুন...